চাহিদা মত চাঁদা না দেওয়ায় এলাকা ছাড়ার হুমকি, অপহরণের চেষ্টা অবশেষে আদালতে মামলা
মোঃ সুমন
চাহিদা মত চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে জনৈক জামাল শিকদার । এ ব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার রাফিয়া দি গ্রামের আব্দুল হক হাওলাদারের পুত্র রিয়াজ হাওলাদার। রিয়াজ হাওলাদার এ ব্যাপারে জামাল শিকদার , বাদল কাজী এবং দুলাল শিকদারের বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৫ জানুয়ারি একটি সি /আর মামলা দায়ের করেন ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে রিয়াজ হাওলাদার রাফিয়া দি চারঘাটা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। রিয়াজের গরুর মাংসের দোকান রয়েছে। একই গ্রামের জামাল বাদল এবং দুলাল রিয়াজের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। রিয়াজ চাঁদা দিতে অস্বীকার করে এ কারণে গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় সকল আসামীরা রিয়াজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দেয়া যাবে না এ কথা বললে রিয়াজকে তারা অপহরণের চেষ্টা চালায় একপর্যায়ে রিয়াজের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হলে জামাল, দুলাল এবং বাদল বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি হুমকিধামকি দেখিয়ে চলে যায়। ১৮ই জানুয়ারি রাত ১১ টায় জামাল শিকদারের নেতৃত্বে আরো দু চারজন সন্ত্রাসীরা মুখোশ পরে রিয়াজের বাড়িতে হামলা চালায়। আসামিরা বাদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদি রিয়াজ নিষেধ করলে তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এরপর বাদল দুলাল জামাল রিয়াজের শোকেস ভেঙ্গে দুটি স্বর্ণের চেইন একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল এক ভরি ওজনের চারটি হাতের বালা সহ মোট যার মূল্য আনুমানিক তিন লক্ষ, টাকা গরুর মাংস বিক্রয়ের ও জবাইয়ের জন্য গরু ক্রয়ের জন্য ড্রয়ারে রাখা নগদ এক লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় আসামিরা রিয়াজকে বেধড়ক মারপিট করে। বাদী এবং সাক্ষীদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী আগাইয়া আসলে আসামিরাদৌড়ে পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। বর্তমানে রিয়াজ হাওলাদার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এ ব্যাপারে তিনি আদালতে একটি মামলা করেছেন। আগামী ৯ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে । রিয়াজের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট জসীমউদ্দীন।