আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা, বৈদ্যুতিক মিটার গ্যারেজসহ স্থাপনা ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক।
আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেজনৈক লিয়াকত বেপারী ও জুল হক বেপারী, স্থাপনা ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে স্থানীয় জনগণ প্রতিহত করে থানাপুলিশ তাহলে পৌঁছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে বরিশাল জেলার আগলঝাড়া উপজেলার বইলা ইউনিয়নের পূর্ব সুজন কাটি গ্রামের ওয়াজেদ আলী মোল্লার পুত্র আব্দুস সাত্তার মোল্লা এস এ, আর এস, বি এস এবং নামজারি মোতাবেক ৩৯ শতাংশ জমির মালিক। ওই দাগে ৬৪ শতাংশ জমি রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আগলি জেলার সন্ত্রাসী সাগর সেরনিয়াবাদের সহযোগী সাইফুল বেপারী এবং রকিব ব্যাপারী সহ ৪-৫ জন এই জমি দখলেরচেষ্টা চালাচ্ছে এ ব্যাপারে আব্দুস সাত্তার মোল্লা বরিশাল জর্জ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেছেন । এছাড়াও বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বেলাতে ১৪৪ ১৪৫ ধারা একটি মামলা দায়ের করেছেন মামলা নাম্বার ১৩৮৮। সব মামলায় পড়া যায় বরণ করে লিয়াকত বেপারী বরিশাল জর্জ পাগল যারা আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছেন মামলা নাম্বার ১৪৩/ ২৪ । গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল । এত কিছুর পরেও সাইফুল এবং রকিবের নেতৃত্বে ১০ জন সন্ত্রাসী ১৪ই ফেব্রুয়ারি ১৫ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় তার মোল্লার ৩৯ শতক জমির উপর নির্মিত মুরগির খামারের পানির ট্যাংকি গ্যারেজ ঘর এবং বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষ টাকা স্থানীয় জনগণ ভাঙচুরের সময় বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় জনগণ চলে যাবার পর রাকিব সাইফুল আবার ঘটনা স্থলে আসলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ দেখে সাইফুল রকিব চলে যায়। সাইফুল এবং রকিবের বিরুদ্ধে লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায় । আওয়ামী লীগের আমলের সাইফুল এবং রকিব কট্টর পন্থী। আওয়ামী লীগের সকল মিছিল মিটিংয়ে তাদের ছিল সড়ব উপস্থিতি । বর্তমানে তারা বিএনপি নেতাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে এখন তাদের দলীয় সমর্থক হবার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে সাত্তার মোল্লার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না তবে তিনি বিষয়টি শুনেছেন আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ বিষয়টি জানে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে যারা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ পান্না ওর সঙ্গে জানান আগৈলঝাড়ায় কোন বিএনপি স্থান নেই। বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে যদি এ ব্যাপারে প্রমাণিত হয় ঘটনার সাথে জড়িত,তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিবেন বলে পান্না সাহেব কথা দিয়েছেন।