মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাড়ছে বাল্যবিবাহ

রিপোর্টার :

সংবাদটি শেয়ার করুন....

মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাড়ছে বাল্যবিবাহ। কেউ কোন আইন মানছে না
রাসেল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৩ নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর ঝাঁটি বুনিয়া গ্রামের জয়নাল সোফেদার এর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকা সূত্রে জানা যায় উত্তর ঝাঁটি বুনিয়া গ্রামের হেমায়েত উদ্দীনের পুত্র মোঃ মইনুল ইমন (১৮) ও একই গ্রামের সাদিয়া আফরোজ জেরিন (১৬) দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে আইন বহির্ভূত বাল্যবিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। একই এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গের তথ্য সূত্রে ছয় জনের একটি সাংবাদিক টিম হেমায়েতউদ্দিনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তাদের বাধা প্রদান করেন মইনুল ইসলামের চাচা পরিচয়ে একই বাড়ির শাহ আলম চুন্নু, এক মুহূর্তে সাংবাদিকদের ক্যামেরা এবং মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চায়, এক পর্যায়ে চার ঘন্টা পরে মইনুল ইমন এর পিতা মোঃ হেমায়েত উদ্দিন তার ঘরে থাকা বাল্যবিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছেলে এবংছেলের স্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের অনুমতি প্রদান করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক মামুন এবং সাংবাদিক ফয়সাল এর কাছে জানতে চাইলে তাহারা বলেন , আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে হেমায়েত উদ্দিন এর বাড়িতে প্রবেশ করলে একই বাড়ির শাহ আলম চুন্নু এবং তার সাথে ৪-৫ জন আমাদের বাধা প্রদান করেন এবং ক্যামেরা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, পরিবেশ খারাপের দিকে গেলে আমরা মির্জাগঞ্জ থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানাই, তখন মইনুল ইমন এর পিতা আমাদের সামনে আসেন এবং ছেলে ও ছেলের বাল্যবিবাহের স্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়ার অনুমতি প্রদান করেন। তাহারা আরো বলেন, শাহ আলম চুন্নুর নির্দেশে ১০-১২ জন মহিলা এসে মইনুল এবং জেরিনকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা আবার থানায় ফোন দিলে এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট পরে এস আই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশ ঘটনা স্থলে আসেন এবং হেমায়েত উদ্দিন এর বসত ঘরে প্রবেশ করে হেমায়েত উদ্দিন কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হেমায়েত উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে তাহাকে পলাতক ছেলে, মেয়েকে বের করে তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করতে বলেন। এস আই রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পথের দূরত্বের কারণে আমাদের ঘটনাস্থলে আসতে খানিকটা দেরি হয়। ঘটনা স্থলে এসে ছেলে মেয়েকে না পেয়ে ছেলের বাবা হেমায়েত উদ্দিন কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন, পরে বাড়ির এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেও ঘটনার সত্যতা পেয়েছি, আমি ছেলের বাবাকে ছেলে এবং মেয়ে নিয়ে ইউ এন ও স্যারের কাছে হাজির হতে বলি।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ