বরগুনা জেলা হিসাবরক্ষক আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
মেহেদী হাসানঃ বরগুনা জেলার হিসাবরক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। তিনি সরকারি চাকরি করে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।সূত্রে জানা যায়, তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আবু সুফিয়ান। আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,ঘুষ,তদবিরের মাধ্যমে চাকরি দিয়ে টাকা হাতানো সহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বরিশাল উপজেলা পরিষদের পিছনে দিঘির পাড় পেশকার বাড়িতে পাশাপাশি চারতলা বিশিষ্ট দুটি ভবন রয়েছে,বাড়ি দুটির নাম গরিবালায়-১ ও গরিবালায়-২ যার হোল্ডিং নম্বর যথাক্রমে ২৪৯ ও ২৪৫। দুটি ভবনই ৮ থেকে ১০ শতাংশের উপর নির্মিত। গরিবালায়-২ এর পাশেই রয়েছে তার ৮ থেকে ১০ শতাংশের আরো একটি প্লট।বর্তমানে এই সম্পদের বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকার উপরে। এছাড়াও তদবিরের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সরকারি চাকরি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছেন।তার ব্যাংক হিসাব তলব করলে নগদ অর্থের অনেক সন্ধান পাওয়া যাবে।তাছাড়াও তার স্ত্রী সন্তান, আত্মীয়-স্বজনের নামে ব্যাপক সম্পদ রয়েছে।এছাড়াও নামে বেনামে কয়েক কোটি টাকা সম্পদ রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি বলেন যে দুটি ভবন তিনি নির্মাণ করেছেন তার জমি পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন।গরিবালয়-২ এর পাশে যে খালি প্লট রয়েছে সেটি তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকে কিনেছে এ বিষয়ে তার কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেয় আর ফোন রিসিভ করেনা। বারবার তাকে ফোন দিলেও তিনি কোন সাড়া দেয়নি তাকে বারবার মেসেজ করেও এর কোন উত্তর তিনি দেয়নি।পরবর্তীতে গোপন সূত্রে জানা যায় তিনি গরিবালয়-১ এর তৃতীয় তলায় থাকে যার প্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যার গরিবালয়-১ এ তার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে সে বাসায় থাকা সত্ত্বেও তার বোন বলে সে বাসায় নেই কিন্তু গোপন সূত্রে জানা গেছে তিনি তৃতীয় তলায় ছিল তার বোন একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকে।সাংবাদিকদের দেখে তিনি তার রুমের লাইট বন্ধ করে দেয় তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে বারবার ফোন করা হয় নিচে থেকে তার ফোন বাজার শব্দ শুনতে পাওয়া গেলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। এই বিষয়ে তার বোনের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হন না । এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় সে এখনো অবসরে যায়নি যদি পৈত্রিক সম্পত্তি ও পেয়ে থাকে তাহলে কিভাবে সে এরকম দুটি আলিশান ভবন তৈরি করেন এবং জমি ক্রয় করেন। অভিযোগ পাওয়ার প্রথম দিনে এই বিষয়ে তাকে জানানো হলে তিনি বরগুনার এক সাংবাদিকের মাধ্যমে কথা বলিয়ে মীমাংসার কথা বলেন। মীমাংসা রাজি না হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। বর্তমানে দেশের উদ্ভূতকর পরিস্থিতির মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশাল বিভাগ শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্ব আসছে……..